আচ্ছা, সামনেই তো ভোট? কাকে ভোট দিবেন সেটা কি ঠিক
করেছেন? অথবা বিকল্প
কিছু কি ভেবেছেন বা পেয়েছেন কাউকে, যাকে আপনি প্রাণ খুলে ভোট দিয়ে বাড়ীতে যেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন? পেশা, জীবিকা ঠিক রাখতে পারবেন? ছেলে-মেয়েকে
স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন? পারবেন নিজের মত প্রকাশ করতে স্বাধীনভাবে?
চাইতে পারবেন বিচার অন্যায়ের? প্রতিকার পাবেন আপনার সমস্যার?
ভারতে কিন্তু আমজনতার “ঝাড়ু পার্টি” দাঁড়িয়ে গেছে? আমাদের সুশীলরা কি এখনো দুই নেত্রীকে নিয়েই
ত্যানা প্যাঁচাতে থাকবেন? নাকি নিজেরা নিজেদের কোমর সোজা করে দাঁড়াবেন?
কিন্তু আছে কি তাতে জোড় সোজা হয়ে দাঁড়াবার? নতুন কিছু করতে পারবেন তারা? ঝাড়ু না
হোক এটলিস্ট “জুতা পার্টি” জাতীয় কোন কিছু? নাকি সম্বল মোর কম্বল খানির মত তারাও
দিনের পর দিন দুই নেত্রীকে নিয়েই টক টক করতে থাকবেন?
যদি তারা সেটা করতে না পারেন বা কোমর সোজা
করার ক্ষমতা না থাকে? তাহলে তাদের কোন অধিকারই নেই দুই নেত্রীর বিপক্ষে তথা
রাজনীতি নিয়ে কথা বলার। তাদের কোন উপস্থিতি থাকা উচিত নয়- রেডিও, সংবাদপত্রে। টকশোর
নামে টিভিতে বন্ধ হওয়া উচিত তাদের তেলতেলে সুখী চেহারা দেখানোর প্রতিযোগিতা। কারণ
দুই নেত্রীর মত তাদেরও কথা শুনতে শুনতে আর চেহারা দেখতে দেখতে আমাদের কান, চোখ ব্যথা
হয়ে গেছে।
তারচেয়ে কি এই ভাল না? সুশীলরা অফ যাক আর
আমরা আমজনতা জুতা নিয়ে আগে বাড়ি ...
০৯/১২/২০১৩, রাতঃ ১০-১২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন