শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৪

ইমরানকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা আবার প্রমাণ করে বাঙ্গালী কখনো এক থাকতে পারে না !!!



ইতিহাস বলে, বাঙালীরা কখনো এক থাকতে পারে না বা একক নেতৃত্ব মানে না, যতই সেটা নিজেদের ভালোর জন্য হোকএকমাত্র বঙ্গবন্ধু এদের কিছুদিনের জন্য এক করতে পেরেছিলেন, আর তাইতো আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম

সেই একই ট্রেন্ডকে অনুসরণ করেই ইমরানকে গণজাগরণ মঞ্চ থেকেবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে !

মানুষের ভুলত্রুটি থাকতে পারে তাই বলে তাকে বাদ দিতে হবে ? মাথায় ব্যথা হলে কি মাথা কেটে ফেলতে হবে ? নাকি ঔষধ খেতে হবে ?

আমি মনে করি, সে ভুল করে থাকলে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া উচিত! কারণ আর তার অল্টারনেটিভ যে আসবে সেও যে নির্ভুল থাকবে তার গ্যারান্টি কি ?

আফটার অল আমরা সবাই বাঙ্গালী এবং নিজেদের আমরা রগে রগে চিনি এবং কেউই ধোওয়া তুলসী পাতাও নই !!!

১২/০৪/২০১৪

ধান্দাবাজ মানুষঃ বাংলার আকাশে-বাতাসে, জলে- স্থলে, সবখানে !!!


গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রাস্তার দুই পাশের উঁচু, নিচু এমনকি ধানি জমিতে কাঁচা-পাকা ঘর তৈরির হিড়িক পড়েছেইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকেরা চন্দ্রা থেকে সাহেববাজার পর্যন্ত ১১০টি কাঁচা-পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন এটা আজকের প্রথম আলোর রিপোর্টের কিছু অংশবাকিটুকু পড়লে মানুষের ধান্দাবাজির রকমফের দেখা যাবে, বোঝা যাবে

সরকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত ও রেলওয়ের জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী দ্বৈত (ডাবল) রেললাইন করার জন্য দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেআর তাই শুনে বেশী বেশী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার লোভে ওই এলাকার মানুষ জন ও জমির মালিকগণ প্রস্তাবিত বা সম্ভাব্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে টিন, ইট-সিমেন্ট দিয়ে ঘড় তুলছে এমনকি পাকা বিল্ডিঙে রডের বিকল্প হিসেবে দিচ্ছে বাঁশএর উদ্দেশ্য একটাই সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া

এটা নতুন কিছু নয় ! যমুনা ব্রিজ হওয়ার আগেও এই অভ্যাস মহামারির রূপ নিয়েছিল সিরাজগঞ্জ-টাংগাইল এলাকায় শুধু নিজের জমিতেই নিজে ঘর বানায়নি, গ্রাম্য টাউট বাটপাররা অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে বা লাভের শেয়ার দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তখন এইসব ঘরবাড়ী বানিয়েছিলযদিও যারা এইভাবে ঘরবাড়ি তুলেছিল তাদের বেশীর ভাগই সর্বস্বান্ত হয়েছিল শেষপর্যন্তকিন্তু তারপরেও এটা থেমে থাকেনি, চলেছে, চলবেই !!!

কিন্তু সরকারের বুলডেজারগুলো কি করছে? দাবী জানাই এগুলিকে দ্রুত একটিভ করা হোক, তা না হলে লোভের এই রোগ, মহামারির রূপ নিবে এবং প্রকল্প দুটোকে স্লো করে দিবে কারণ সরকারের মধ্যেও ওদের প্রতি দয়া দেখানো (ভাগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে) লোকের অভাব হবে না !!!

তাই, সবকিছু দেখে, শুনে ও পড়ে- একটা কথাই বলতে চাই, ধান্দাবাজ মানুষ বাংলার আকাশে-বাতাসে, জলে- স্থলে, সবখানে !!!

সব সময় !!!

জাস্ট, একটু সুযোগের অপেক্ষা !!!

১২/০৪/২০১৪

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য “প্রফিডেন্ট ফান্ড”- হবে একটা শুভ উদ্দ্যোগ !



বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবীদের জন্য পেনশন চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আব্দুল আল মুহিত। আমি সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি দাবী জানাই সরকারের এই উদ্দ্যোগ যেন শুধুমাত্র কথার ফুলঝুড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে তা বাস্তবায়িত হয়। এটাও দাবী জানাই, এটা যেন আবার কোনরকমের রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজী না হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে একটা বড় জনগোষ্ঠী বেসরকারি প্রতিস্থানগুলোতে চাকুরী করছে। যাদের মধ্যে যেমন আছে উচ্চ শিক্ষিত দক্ষ কর্মীবাহিনী তেমনি আছে অশিক্ষিত নারী-পুরুষ। যারা তাদের কাজের মাধ্যমে নিজ প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির সাথে সাথে প্রকান্তরে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা যে মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপনের প্রধান কারীগরই কিন্তু এই জনগোষ্ঠী।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরী করছেন তাদের জন্য অবসরকালীন পেনশনের ব্যবস্থা করা হলে এথেকে দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী উপকৃত হবেকারণ বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ বেসরকারকারী প্রতিষ্ঠানেই এই সুযোগ নেই কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে থাকলেও তা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়িত হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একজন কর্মীর চাকুরী যাওয়ার পরে বা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সে স্বেচ্ছায় চলে গেলে বা অবসর নিলে প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করে না বা করলেও নানারকমের টালবাহানা করে টাকা আটকিয়ে রাখে।

এমনিতেই যারা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন তারা সব সময়ই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকেন। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কিন্তু শুধুমাত্র একজন কর্মীই থাকেন না, থাকেন তার উপর নির্ভরশীল পরিবার পরিজন তথা স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, বাবা, মা সহ সকলে। 

এই প্রসঙ্গে এটা উল্ল্যেখ না করলেই নয় যে, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরী করেন তাদের প্রায় সবসময়ই চাকুরি  হারানো জতিত একটা ভীতির মধ্যে থাকতে হয়। তা প্রতিষ্ঠান যত ভালই হোক, একটা অনিশ্চয়তা সব সময়ই থাকে। যদিও আমি মনে করি এই ভীতি সবসময় একজন কর্মীকে তার কাজের প্রতি সৎ থাকতে বাধ্য করে পাশাপাশি একটা প্রতিযোগিতার মধ্যে সে নিজেকে আপগ্রেড করতে পারে বা বাধ্য হয়। প্রকান্তরে এটা একজন কর্মীকে দক্ষ করে তোলে এবং প্রতিষ্ঠান ও দেশ এগিয়ে যায়। তাই এই ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য একটা আর্থিক নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা আবশ্যক যা প্রকান্তরে দেশকেই লাভবান করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে সুস্থ ও সবল রাখবে।  

তাই আমি মনে করি, সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে একটা ভাল আইন তৈরী করে তার যথাযথ প্রয়োগ করার ব্যবস্থা নিতে হবে পাশাপাশি প্রফিডেন্ট ফান্ড চালু আছে এমন প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়করের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট হারে ছাড়ের ব্যবস্থা করলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এটা বাস্তবায়ন করতে উৎসাহ হবে

০৭/০৪/২০১৪