মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৪

ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিএনপিকে কেন ভোট দেয় না সেটা তাদের ভাবা উচিত !!!


হিন্দুরা মার খেয়ে প্রমাণ করেছে দেশে ভোট হয়েছে বা  নাগরিকেরা ভোট দিয়েছেআবার অন্যভাবেও বলা যায়, বিএনপি- জামাত হিন্দুদের মেরে, তাদের বাড়ী-ঘর তথা গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে/ভেঙ্গে প্রমাণ করেছে দেশে ভোট হয়েছে বা নাগরিকেরা ভোট দিয়েছে

প্রায় ভোটার হীন একটা ভোট করায় আওয়ামীলীগ যে বেকায়দায় পড়েছিল তা থেকে বের হতে বিএনপি- জামাতই তাকে সাহায্য করলোবিশ্বে আওয়ামীলীগ তথা বর্তমান সরকারকে বৈধতা দিতেও প্রকারন্ত্রে বিএনপি-জামাত সাহায্য করলোএই ভুল আঁচিরেই বিএনপি বুঝতে পারবে

আমার ব্যক্তি জীবনে আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপি সমর্থক বন্ধু/কলিগই বেশী এবং আমি মনে করি আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপি যারা করে তারা অনেক বেশী সহনশীল এবং ভালতাই এই ঘটনার পরে তারা সবাই আমার সাথে কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে! এই বিষয়টা বিএনপি'র ভাবা উচিত!  

জোড় করে ভোট নেওয়া যায় না বা উচিতও না! এবার যদি সবাই ভোটে অংশগ্রহণ করতো তাহলে ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের অন্তত কিছু ভোট এবার বিএনপি পেততাই আমি বলবো,  মার না দিয়ে কেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিএনপিকে ভোট দেয় না? - সেটা তাদের ভাবা উচিত !!!

এটাই গণতন্ত্রের সঠিক পন্থা !!!

০৮/০১/২০১৪ 
http://www.thedailystar.net/fresh-attacks-on-hindus-in-north-5883

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৪

দশম সংসদ নির্বাচনঃ আমি হতাশ !

বেশী কিছু আশা করা ভুল-
বুঝলাম আমি এতদিনে!
মুক্তি মেলে না কখনো-
জড়ালে কোন ঋণে!
– আজ জগজিৎ সিং–এর এই গানটা মনে পড়ছে খুব!

আজ আমি সারাদিন ভোট দেখলাম টিভিতে। এছাড়াও কিছুটা সময়ের জন্য একটা কেন্দ্রের পাশ দিয়ে ঘুরে এসেছি কিছুক্ষণের জন্যে বাজার করার ফাঁকে। যদিও আমি যেখানকার ভোটার অর্থাৎ আমাদের নিজ সংসদীয় এলাকা, সেখানে ভোট হচ্ছে কিন্তু আমার ঢাকায় অবস্থান জনিত কারণে ভোট দেওয়াটা আর এবার হয়ে ওঠেনি। আবার বলা যায়, সুযোগ থাকলেও যে সেটা প্রয়োগ করতে পারতাম বা করতাম, তা জোড় গলায় বলতে পারছি না। কেন পারছি না? সেটা নিজের বিবেকের কাছেই একটা বড় প্রশ্ন হিসেবে থেকে যাবে!

শুধু এটুকু বলবো আওয়ামীলীগ নিজের সংগঠন সম্পর্কে এতদিন ধরে একটা ভুল ধারণা পোষণ করে এসেছে, দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির মাধম্যে দলকে ক্ষয়ে যেতে দিয়েছে, এখন যা দেখছি তা আসলে একটা ঘুণে খাওয়া কাঠ। বাইরে থেকে দেখতে শক্তপোক্ত মনে হলেও ভিতরটা ফাঁকা হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ আজ তার আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হয়ে হয়ে চলে এসেছে বহুদূর। এছাড়াও বিপক্ষকে তারা ভয়াবহ রকমের অবমূল্যায়ন করেছে, নিজের শত্রু বাড়িয়েছে, বন্ধুকে করেছে পর- যা ছিল আসলেই অপ্রয়োজনীয়। নিজের গ্রামীণ কর্মী ও সমর্থকদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, এমনকি বিপদে পাশেও দাঁড়াতে পারেনি।

আর অপরদিকে, বিপক্ষ শক্তি গত কয়েকমাস ধরে সরকারের ব্যর্থতার ব্যাপক ও বহুমুখী প্রচার করেছে, সত্যের সাথে অপপ্রচার যোগ করায় তার মাত্রা হয়েছে আরও ব্যাপক। এছাড়াও ভয়াবহ সন্ত্রাসের মাধ্যমে গ্রাম গঞ্জের মানুষদের তথা ভোটারদের মনোবল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। যদিও কোন মিডিয়েতেই আসেনি, তবে ফোন করে জানলাম, হুমকি ধামকি ছাড়াও গতকাল রাতেও আমাদের এলাকার প্রায় সকল গ্রামে বোমা ফাটানো হয়েছে আতংক তৈরী করার জন্য, যাতে করে কেউ ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সাহসও না করে। তারমানে একইরকম ঘটনা অন্য এলাকাগুলোতেও হয়েছে- এটা ধরে নেওয়াই যায়। এছাড়াও স্কুল পুড়ানো তো আছেই।

আর সবকিছুর মিলিত ফলাফল হল- দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ভয়াবহ রকমের কম হার। যা সকাল থেকেই দেখছি টিভির পর্দায়।

সত্যি বলতে কি, এতটা খারাপ আমি আশা করিনি!

আমি হতাশ !!!   


০৫/০১/২০১৩, রাতঃ ৮.১৫      

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৪

ঘরোয়া কথা-১

বন্ধু বলল, বল তো দেখি একজন গৃহী পুরুষের মেজাজ কিসের উপর নির্ভর করে?
আমি বললাম, কেন, বউ আর মেয়ের উপরে!
-   বুঝলাম না?
বললাম, শোন! তোর কোনদিন ভাল্লুক্যা জ্বর হয়েছিল?
-   হয়েছিল।
তাইলে বুঝবি! ধর, আমি অফিসে ব্যস্ত, হটাৎ বাসা থেকে ফোন এলো, রিসিভ করেই বউয়ের স্বর শুনলাম, সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা ৯৬ ডিগ্রী থেকে ১০৪ এ লাফিয়ে উঠে গেল। আবার পরক্ষনেই সেই ফোনে যদি মেয়ের স্বর শুনি, সাথে সাথে সেই উঠন্ত তাপমাত্রা নেমে আবার ৯৬।
-   এটা দিয়ে তুই কি বুঝাইলি, বিয়ের আগে তো দেখতাম বৌদির সাথে ফোনে মাল্টিঘন্টা কাটাইতি? এখনকার এই অবস্থা ও জানে?
বললাম, জানে না তবে মনে হয় বোঝে!
-   কিভাবে বুঝলি?
বুঝলাম, এখন দেখি- কম গুরুত্বপূর্ণ কথার পর তোর বৌদি ফোনটা মেয়ের হাতে দেয়। আর বেশী গুরুত্বপূর্ণ কথার আগে মেয়েকে দিয়ে কথা বলায়, তারপর সে বলে। যাতে তাপমাত্রাটা মাইনাসে নামে এবং পরে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। আমি যে হাই প্রেশারের রুগী এটা সে সব সময় মনে রাখে। বুঝলি?
-   বুঝলাম !!!

০৩/০১/২০১৪, সকাল ১০.০০