এই পৃথিবীতে সুখী হতে কে না চায়? কেউ সুখী হয় আবার কেউ
হয় না! ভালবেসে সুখী হতে চায় কেউ; কেউ চায় বাড়ী-গাড়ির মালিক হয়ে সুখ পেতে! কেউবা
চায় টাকা, টাকা আর টাকা। আবার কেউ সবই চায়- তার নিজ সুখের জন্য; চায় গাড়ী, বাড়ী,
নারী সহ সবকিছু!
তারপরেও কবিরা বলে; মানুষ আসলে কেউই সুখী হতে পারে না!
যখন সে বোঝে- গতকাল সে যেটা চেয়েছিল; তা আজ আর তার কাছে কাঙ্ক্ষিত মনে হচ্ছে না
কারণ সেটা সে ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে; তার আকাঙ্ক্ষা মিটে গেছে। তাই তার এখন নতুন
কিছু চাই! তাহলেই সে সুখ পাবে। অন্যথায় অসুখে পড়বে আবার! এই চক্রে সে সারাজীবন
ঘুরতে থাকবে।
আজ যে তিন বেলার জায়গায় একবেলা খায়; যখন সে খায় তখন সে
সুখীই থাকে। কিন্তু সেই একই ব্যক্তি যখন দুইবেলার খাওয়ার সংস্থান করতে পারে; তখন তার
কাছে আর একবেলা খাওয়াটাকে সুখ বলে মনে হয় না। যে ভাড়া বাসায় থাকে, সে আশা করে- কবে
ঢাকায় তার নিজের বাসা হবে? তাহলেই সে সুখ পাবে! কিন্তু যখনই সে নিজের জন্য একটা
বাসস্থানের সংস্থান করতে পারলো তখনই তার প্রয়োজন পড়লো নতুন আর একটা বাসস্থানের! এই
করে সে নতুন একটা চক্রে আবার ঢুঁকে গেল। পর নারী-পুরুষে সুখ খোঁজা মানুষগুলোর কথা
না হয় বাদই দিলাম! আবার কেউ আছে জীবনে যা কিছু তিনি অর্জন করেছেন, তার সবই দান করে
সুখ খোঁজে!
আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা এখন দস্তুরমতো সুখী দেশ। আমাদের অভাব আছে। কিন্তু ৪৪ বছরে আমরা
দারিদ্র্যকে এমনভাবে চেপে ধরেছি যে, ২০১৮ সালের পর
বাংলাদেশে বস্তুতপক্ষে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।”
শুনে ভাল লাগলো! দুষ্টদের ট্রেডমার্ক করা- “তলাবিহীন
ঝুড়ি”টা আজ সুখী দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে!
কিন্তু কথা হলো, সুখ! সেটা কি ও কতক্ষণের? কেউ কি বলবেন
কেন মানুষগুলো ভিটেমাটি ছেড়ে স্থলপথে, জলপথে
বিদেশ বিভূঁইয়ের অজানা পথে যাচ্ছে; বাঁচার আশায়? নতুন জীবনের সন্ধানে?
১৭/০৫/২০১৫