রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

খাদ্যে ভেজালের দেওয়ার জন্য অপরাধ প্রতি ১০০ বেত চাই !!!

খবরটা পড়ে পুনরায় আঁতকে উঠলাম! জানলাম, এখন মাছে শুধু ফরমালিনই ব্যবহার করা হচ্ছে না, মাছকে তাজা দেখানোর জন্য সেটার কান্তার মধ্যে কাপড়ের লাল রঙও ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাছে ঢেঁড়সের রস- যা কিছুটা পিচ্ছিল ও আঠালো, তাও ব্যবহার করা হচ্ছে। এই রস মাছের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে- মাছে তাজা ভাব ফুটিয়ে তোলার জন্য। এইসবই করা হচ্ছে আবার “বেশী দামে ভাল মাছ খাওয়ার” বিজ্ঞাপন টাঙ্গিয়ে!  মানে যে দোকানে এই ভেজাল মিস্ত্রিত মাছ ভ্রাম্যমাণ আদালত ধরেছে, সেই “মামা–ভাগিনা ইলিশ মাছের দোকানে”র সাইনবোর্ডে লেখা আছে “যার মান ভালো, তার দাম ভালো’।


আমি বাজার থেকে সাধারণত: এইসব মাছ গুলোই কিনে থাকি কিছুটা ভেজাল ফ্রি মাছ খাওয়ার জন্য। এখন দেখছি, এতে আরও বেশি ভেজাল! ফরমালিন তো আছেই, সাথে ডায়িং কেমিক্যাল ফ্রি !!!

শুধু মাছই নয়, ফরমালিন আছে আম, লিচু সহ বাজারের সবধরনের মৌসুমি ফলেও!

আসলে জাতি হিসেবে আমরা এতটাই পচে গেছি যে, কোন আর্থিক আইন বা জেল জরিমানা দিয়ে এসব থেকে আর আমাদের আর মুক্তি মিলবে না। তাই চাই টরট আইন (Tort Law)! মানে শাস্তি হিসেবে নগদে মাইর !!!

প্রতি অপরাধ ১০০ বেত চাই, প্রকাশ্যে !!!  

২৫/০৫/২০১৪, বিকাল ৪.১৪

বেসিক ব্যাংকের এমডি অপসারণঃ কিন্তু টাকার কি হবে?

খবরে পড়লাম, সরকার বেসিক ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ করেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন তাকে এখন অপসারণ করে কি লাভ? কাজ যা করার তা তো করেই ফেলেছে অর্থাৎ লুটপাট কমপ্লিট করার পর এখন তাকে সরিয়ে কি লাভ? টাকার কি হবেঅপরদিকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব বাচ্চু'র কি হবে? রাজনৈতিক লিঙ্ক থাকায় সেও কি আর সবার মত বেঁচে যাবে? যেমন বেঁচে গেছে জনতা ব্যাংকের চোরগুলা! 

আমি মনে করি গত ও এবারের আওয়ামীলীগ সরকার, অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এই ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতাই শুধু দেখায়নি, চরম আর্থিক অন্যায়ও করেছেন! সাধারণ মানুষের গচ্ছিত টাকা তার লুট করিয়েছেন বা লুটে সহায়তা করেছেন। অন্যকোন দেশ হলে এতদিন সোনালী, বেসিক সহ আরও কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যেত এবং এদের আজীবন জেল বা ফাঁসী হত। সব সম্ভবের দেশ বলে বাংলাদেশে এখনো  এরা বড় গলায় কথা বলছেন এবং স্বপদে বহাল তবিয়তে আছেন! একটু লজ্জাও নেই এদের! এরাই নাকি দেশের জ্ঞানী গুণী আর শিক্ষিত মানুষ! আওয়ামীলীগকে এরাই ভোটে জেতাবে? দেখা যাবে ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন হলে !!!

অপেক্ষায় আছি !!!  


২৫/০৫/২০১৪, রাতঃ ৯.৩০ 

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

সোনার চক্কর

গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে, স্বর্ণকার যদি তার মায়ের জন্যও গহনা বানায় তাহলেও সে চুরি করবে। তারপরও মানুষ এটা জেনেই গহনা বানায় বা কেনে, অনেকটা শেয়ালের কাছে মুরগী বন্ধক রাখার মত অবস্থা; আর কি !!!
স্বর্ণের প্রতি মানুষের লোভ জন্ম জন্মান্তর ধরে চলে আসছে স্থান কাল পাত্রবিহীন ভাবে। এটা কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বা হবেও না, যতদিন না এর বিকল্প কোনকিছু বের হচ্ছে বা মেয়েরা এর ব্যবহার বন্ধ করছে। অবশ্য ছেলেরাও এখন এটা ব্যবহারে কম যায় না! জনাব বাপ্পি লাহিড়ী এর জলজ্যান্ত উদাহরণ।
এক সময় রাজা মহারাজদের রাজকোষে থাকা সোনা প্রমাণ করত তার ক্ষমতা যা এখনও বর্তমান। আবার মন্দিরে মন্দিরে সন্তুষ্টি ও অর্ঘের নামে দেবতাকে স্বর্ণদানের খবর কে না জানে? এছাড়াও আছে ফারাওদের সোনার মকুট, তৈজসপত্র আর কফিন।
স্প্যানিশদের দ্বারা ইনকা সভ্যতা ধ্বংসই হল এই সোনার কারণে। আজ আফ্রিকায় যে এত হানাহানি তারও মুলেও আছে সোনা। জনাব ঘোড়ি'র ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্যই ছিল সোনা লুট। তার হাতে লুট হওয়া সোমনাথ মন্দির তো ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। আরব শেখদের সোনার গাড়ী ও বিমানের খোঁজ আমরা কয়জন রাখি? সাদ্দাম হোসেনের সোনার পিস্তল, এক-৪৭ আর সোনার টয়লেট তো মিস্ট্রি, যা একজন একনায়কের খেয়ালের নমুনা নির্দেশ করে। আবার ইরাক দখলের পর সেই সোনার একে-৪৭ চুরি করে আমেরিকায় পাচার করতে যেয়ে সেই নীতিবান দেশের সেনা সদস্য হাতেনাতে ধরাও পড়ে। এছাড়াও আছে হালের ফ্যাশন আইফোন; তবে সেটাও হচ্ছে স্বর্ণের যা বড় লোকদের হাতে হাতে পৌছাতে হয়ত আর কিছুদিন লাগবে। শোনা যায়, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোরস ওয়ান নামক বিমান দুটিও সোনার পাতে জড়ানো, রাডারে ফাঁকি দেওয়ার জন্য বিজ্ঞানীদের এই কর্ম । অর্থাৎ ছোট থেকে বড়, ধনী থেকে গরীব; সবাই সোনার জন্য লালায়িত। এখানে একেবারেই সাম্য; রাজা-প্রজা, পাপি-দেবতা, ডাকাত-বিজ্ঞানী সব সমানে সমান ! এক কথায় যাকে বলে সোনায় সোহাগা !
এখন আসি মূল প্রসঙ্গে- বর্তমানে আমাদের দেশে সোনা চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার মুল কারণ হল, ভারতে সোনা আমদানির উপর সেই দেশের সরকার ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কারণে চোরাচালানকারীরা বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে খরচ কমানোর জন্য। আর এটা করতে যেয়ে যতটুকু ধরা পড়ছে তার অন্তত: ৯৯ গুণ বেশী ধরা না পড়ে পাচার হচ্ছে অর্থাৎ ধরা পড়াটুকুকে খরচের খাতায় ধরেই সব কিছু হচ্ছে, চোরাচালানের নীতি অনুযায়ী !
ভারত, প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের মত সোনা আমদানি করে প্রতি বছর, এর কিছু অংশ পাচার হয়ে যাবে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে। আর এগুলো বিক্রি হবে মূলত ভারতের কালোটাকার মালিকদের কাছে কারণ এর কোন ডকুমেন্ট থাকবে না ভারতের কাস্টমসে। আবার বিক্রেতার বিক্রয় খাতায়ও এটা লেখা থাকবে না।
এটা জানা দরকার যে, ভারতে কালোটাকা মানে কালোটাকা! আমাদের মত করে চিন্তা করলে ভারতে এই কালোটাকা ধারীদের জ্বালা বা প্রকৃত শাস্তি বোঝা যাবে না। আমাদের কাছে তো টাকা মানে টাকা, সেটার আবার ভাল-মন্দ বা সাদা-কালো আছে নাকি? চুরি-ডাকাতি, ঘুষ-দুর্নীত, খুন-গুম যেভাবেই আসুন না কেন, যার হাতে থাকবে টাকা; সেই হল মালিক এই বাংলাদেশ। আর সেটা লুকানোর কোন চিন্তাই নেই- গাড়ী-বাড়ী-নারী থেকে শুরু করে সম্মান ও ক্ষমতাও কেনা যায়, এটা দিয়ে যখন তখন এই দেশে।
অপরদিকে, ভারতে আয়কর দফতরের ভয়ে; এই টাকা লুকানোর জন্য কালোটাকার মালিকেরা বাড়ীতে ডাবল ওয়াল বানিয়ে তার মধ্যে, মাটির নীচে, বিছানার তোষক; হেন কোন পদ্ধতি নাই, যা ব্যবহার করে না, আর সোনা হল টাকা লুকানোর সেরা ও সহজ মাধ্যম ! এছাড়াও আছে জনাব আনা হাজারের সব বড় নোট অচল করে দেওয়ার হুমকি। আবার রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নতুন সার্কুলার, " যেসব রূপির নোটে সাল লেখা নেই তা ব্যাংকের একাউন্টের মাধ্যমে বদলিয়ে নিতে হবে"। অর্থাৎ এটা করতে গেলে কালো টাকার মালিকরা জায়গায় দাঁড়িয়ে ধরা খাবে আর তাই তো তাদের কাছে সোনাই ভরসা।
অর্থাৎ যারা কালোটাকা বিনিয়োগ ও লুকাতে ভয় পাচ্ছে বা বিদেশে সেই টাকা পাচার করতে পারছে না বা সেই সামর্থ্য নেই তারা কালোটাকার নোটের বদলে সোনা সংগ্রহ করছে যাতে করে ছোট কোন জায়গায় এটা সহজেই লুকানো যায়। আবার এর বিক্রেতারা কালোসোনা বা চোরাই সোনা দিয়ে ছোট ছোট কালো টাকার মালিকদের নিকট থেকে সেই টাকা সংগ্রহ করে তা একযোগে হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার করে দিচ্ছে, যার শেষ গন্তব্য হচ্ছে সুইস ব্যাংক। আর কে না জানে সুইস ব্যাঙ্কে আছে সবচেয়ে বেশী ভারতের নাগরিকদের টাকা যার পুড়োটাই কালো। আর ব্যবসায়ীদের এবার জনাব নরেন্দ্র মোদীকে একযোগে সমর্থনের পিছনেও আছে এই লুকায়িত টাকা ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার একটা গোপন ইচ্ছা!
নিজের টাকা বেনামে রাখতে আর কতক্ষণ ভাল লাগে বা যদি ভোগে না লাগে তবে টাকা রেখে কি লাভ? তাই ব্যবসায়ীদের একটা গোপন ইচ্ছা; জনাব মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশে কালোটাকা বিনিয়োগ করার একটা সুযোগ দিবে কারণ ভারতের মত দেশে এই সুযোগ দান এত সহজ নয়, যেখানে জনাব আনা হাজারের মত সামাজিক আর জনাব কেজরিওয়ালের মত রাজনৈতিক সৎ নেতৃত্ব বর্তমান। আর তাই চাই মোদীর মত সাহসী নেতা!
আবার জনাব মোদী যদি সত্যিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন এবং কালোটাকা সহজ বিনিয়োগের সুযোগ দেন তাহলে সেখানে সোনার দাম কমে যাবে এবং এখনকার ঠিক উল্টো স্রোত বইবে তখন।
অতএব, এটা ধরে নেওয়াই যায় যে, এই সোনার চক্কর থেকে এত সহজে আমাদের মুক্তি মিলবে না !!!
১৪/০৫/২০১৪, ৪.৩০ বিকাল


শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৪

ইমরানকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা আবার প্রমাণ করে বাঙ্গালী কখনো এক থাকতে পারে না !!!



ইতিহাস বলে, বাঙালীরা কখনো এক থাকতে পারে না বা একক নেতৃত্ব মানে না, যতই সেটা নিজেদের ভালোর জন্য হোকএকমাত্র বঙ্গবন্ধু এদের কিছুদিনের জন্য এক করতে পেরেছিলেন, আর তাইতো আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম

সেই একই ট্রেন্ডকে অনুসরণ করেই ইমরানকে গণজাগরণ মঞ্চ থেকেবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে !

মানুষের ভুলত্রুটি থাকতে পারে তাই বলে তাকে বাদ দিতে হবে ? মাথায় ব্যথা হলে কি মাথা কেটে ফেলতে হবে ? নাকি ঔষধ খেতে হবে ?

আমি মনে করি, সে ভুল করে থাকলে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া উচিত! কারণ আর তার অল্টারনেটিভ যে আসবে সেও যে নির্ভুল থাকবে তার গ্যারান্টি কি ?

আফটার অল আমরা সবাই বাঙ্গালী এবং নিজেদের আমরা রগে রগে চিনি এবং কেউই ধোওয়া তুলসী পাতাও নই !!!

১২/০৪/২০১৪

ধান্দাবাজ মানুষঃ বাংলার আকাশে-বাতাসে, জলে- স্থলে, সবখানে !!!


গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রাস্তার দুই পাশের উঁচু, নিচু এমনকি ধানি জমিতে কাঁচা-পাকা ঘর তৈরির হিড়িক পড়েছেইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকেরা চন্দ্রা থেকে সাহেববাজার পর্যন্ত ১১০টি কাঁচা-পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন এটা আজকের প্রথম আলোর রিপোর্টের কিছু অংশবাকিটুকু পড়লে মানুষের ধান্দাবাজির রকমফের দেখা যাবে, বোঝা যাবে

সরকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত ও রেলওয়ের জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী দ্বৈত (ডাবল) রেললাইন করার জন্য দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেআর তাই শুনে বেশী বেশী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার লোভে ওই এলাকার মানুষ জন ও জমির মালিকগণ প্রস্তাবিত বা সম্ভাব্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে টিন, ইট-সিমেন্ট দিয়ে ঘড় তুলছে এমনকি পাকা বিল্ডিঙে রডের বিকল্প হিসেবে দিচ্ছে বাঁশএর উদ্দেশ্য একটাই সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া

এটা নতুন কিছু নয় ! যমুনা ব্রিজ হওয়ার আগেও এই অভ্যাস মহামারির রূপ নিয়েছিল সিরাজগঞ্জ-টাংগাইল এলাকায় শুধু নিজের জমিতেই নিজে ঘর বানায়নি, গ্রাম্য টাউট বাটপাররা অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে বা লাভের শেয়ার দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তখন এইসব ঘরবাড়ী বানিয়েছিলযদিও যারা এইভাবে ঘরবাড়ি তুলেছিল তাদের বেশীর ভাগই সর্বস্বান্ত হয়েছিল শেষপর্যন্তকিন্তু তারপরেও এটা থেমে থাকেনি, চলেছে, চলবেই !!!

কিন্তু সরকারের বুলডেজারগুলো কি করছে? দাবী জানাই এগুলিকে দ্রুত একটিভ করা হোক, তা না হলে লোভের এই রোগ, মহামারির রূপ নিবে এবং প্রকল্প দুটোকে স্লো করে দিবে কারণ সরকারের মধ্যেও ওদের প্রতি দয়া দেখানো (ভাগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে) লোকের অভাব হবে না !!!

তাই, সবকিছু দেখে, শুনে ও পড়ে- একটা কথাই বলতে চাই, ধান্দাবাজ মানুষ বাংলার আকাশে-বাতাসে, জলে- স্থলে, সবখানে !!!

সব সময় !!!

জাস্ট, একটু সুযোগের অপেক্ষা !!!

১২/০৪/২০১৪

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য “প্রফিডেন্ট ফান্ড”- হবে একটা শুভ উদ্দ্যোগ !



বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবীদের জন্য পেনশন চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আব্দুল আল মুহিত। আমি সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি দাবী জানাই সরকারের এই উদ্দ্যোগ যেন শুধুমাত্র কথার ফুলঝুড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে তা বাস্তবায়িত হয়। এটাও দাবী জানাই, এটা যেন আবার কোনরকমের রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজী না হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে একটা বড় জনগোষ্ঠী বেসরকারি প্রতিস্থানগুলোতে চাকুরী করছে। যাদের মধ্যে যেমন আছে উচ্চ শিক্ষিত দক্ষ কর্মীবাহিনী তেমনি আছে অশিক্ষিত নারী-পুরুষ। যারা তাদের কাজের মাধ্যমে নিজ প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির সাথে সাথে প্রকান্তরে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা যে মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপনের প্রধান কারীগরই কিন্তু এই জনগোষ্ঠী।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরী করছেন তাদের জন্য অবসরকালীন পেনশনের ব্যবস্থা করা হলে এথেকে দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী উপকৃত হবেকারণ বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ বেসরকারকারী প্রতিষ্ঠানেই এই সুযোগ নেই কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে থাকলেও তা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়িত হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একজন কর্মীর চাকুরী যাওয়ার পরে বা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সে স্বেচ্ছায় চলে গেলে বা অবসর নিলে প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করে না বা করলেও নানারকমের টালবাহানা করে টাকা আটকিয়ে রাখে।

এমনিতেই যারা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন তারা সব সময়ই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকেন। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কিন্তু শুধুমাত্র একজন কর্মীই থাকেন না, থাকেন তার উপর নির্ভরশীল পরিবার পরিজন তথা স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, বাবা, মা সহ সকলে। 

এই প্রসঙ্গে এটা উল্ল্যেখ না করলেই নয় যে, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরী করেন তাদের প্রায় সবসময়ই চাকুরি  হারানো জতিত একটা ভীতির মধ্যে থাকতে হয়। তা প্রতিষ্ঠান যত ভালই হোক, একটা অনিশ্চয়তা সব সময়ই থাকে। যদিও আমি মনে করি এই ভীতি সবসময় একজন কর্মীকে তার কাজের প্রতি সৎ থাকতে বাধ্য করে পাশাপাশি একটা প্রতিযোগিতার মধ্যে সে নিজেকে আপগ্রেড করতে পারে বা বাধ্য হয়। প্রকান্তরে এটা একজন কর্মীকে দক্ষ করে তোলে এবং প্রতিষ্ঠান ও দেশ এগিয়ে যায়। তাই এই ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য একটা আর্থিক নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা আবশ্যক যা প্রকান্তরে দেশকেই লাভবান করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে সুস্থ ও সবল রাখবে।  

তাই আমি মনে করি, সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে একটা ভাল আইন তৈরী করে তার যথাযথ প্রয়োগ করার ব্যবস্থা নিতে হবে পাশাপাশি প্রফিডেন্ট ফান্ড চালু আছে এমন প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়করের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট হারে ছাড়ের ব্যবস্থা করলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এটা বাস্তবায়ন করতে উৎসাহ হবে

০৭/০৪/২০১৪

মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৪

ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিএনপিকে কেন ভোট দেয় না সেটা তাদের ভাবা উচিত !!!


হিন্দুরা মার খেয়ে প্রমাণ করেছে দেশে ভোট হয়েছে বা  নাগরিকেরা ভোট দিয়েছেআবার অন্যভাবেও বলা যায়, বিএনপি- জামাত হিন্দুদের মেরে, তাদের বাড়ী-ঘর তথা গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে/ভেঙ্গে প্রমাণ করেছে দেশে ভোট হয়েছে বা নাগরিকেরা ভোট দিয়েছে

প্রায় ভোটার হীন একটা ভোট করায় আওয়ামীলীগ যে বেকায়দায় পড়েছিল তা থেকে বের হতে বিএনপি- জামাতই তাকে সাহায্য করলোবিশ্বে আওয়ামীলীগ তথা বর্তমান সরকারকে বৈধতা দিতেও প্রকারন্ত্রে বিএনপি-জামাত সাহায্য করলোএই ভুল আঁচিরেই বিএনপি বুঝতে পারবে

আমার ব্যক্তি জীবনে আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপি সমর্থক বন্ধু/কলিগই বেশী এবং আমি মনে করি আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপি যারা করে তারা অনেক বেশী সহনশীল এবং ভালতাই এই ঘটনার পরে তারা সবাই আমার সাথে কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে! এই বিষয়টা বিএনপি'র ভাবা উচিত!  

জোড় করে ভোট নেওয়া যায় না বা উচিতও না! এবার যদি সবাই ভোটে অংশগ্রহণ করতো তাহলে ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের অন্তত কিছু ভোট এবার বিএনপি পেততাই আমি বলবো,  মার না দিয়ে কেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিএনপিকে ভোট দেয় না? - সেটা তাদের ভাবা উচিত !!!

এটাই গণতন্ত্রের সঠিক পন্থা !!!

০৮/০১/২০১৪ 
http://www.thedailystar.net/fresh-attacks-on-hindus-in-north-5883

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৪

দশম সংসদ নির্বাচনঃ আমি হতাশ !

বেশী কিছু আশা করা ভুল-
বুঝলাম আমি এতদিনে!
মুক্তি মেলে না কখনো-
জড়ালে কোন ঋণে!
– আজ জগজিৎ সিং–এর এই গানটা মনে পড়ছে খুব!

আজ আমি সারাদিন ভোট দেখলাম টিভিতে। এছাড়াও কিছুটা সময়ের জন্য একটা কেন্দ্রের পাশ দিয়ে ঘুরে এসেছি কিছুক্ষণের জন্যে বাজার করার ফাঁকে। যদিও আমি যেখানকার ভোটার অর্থাৎ আমাদের নিজ সংসদীয় এলাকা, সেখানে ভোট হচ্ছে কিন্তু আমার ঢাকায় অবস্থান জনিত কারণে ভোট দেওয়াটা আর এবার হয়ে ওঠেনি। আবার বলা যায়, সুযোগ থাকলেও যে সেটা প্রয়োগ করতে পারতাম বা করতাম, তা জোড় গলায় বলতে পারছি না। কেন পারছি না? সেটা নিজের বিবেকের কাছেই একটা বড় প্রশ্ন হিসেবে থেকে যাবে!

শুধু এটুকু বলবো আওয়ামীলীগ নিজের সংগঠন সম্পর্কে এতদিন ধরে একটা ভুল ধারণা পোষণ করে এসেছে, দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির মাধম্যে দলকে ক্ষয়ে যেতে দিয়েছে, এখন যা দেখছি তা আসলে একটা ঘুণে খাওয়া কাঠ। বাইরে থেকে দেখতে শক্তপোক্ত মনে হলেও ভিতরটা ফাঁকা হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ আজ তার আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হয়ে হয়ে চলে এসেছে বহুদূর। এছাড়াও বিপক্ষকে তারা ভয়াবহ রকমের অবমূল্যায়ন করেছে, নিজের শত্রু বাড়িয়েছে, বন্ধুকে করেছে পর- যা ছিল আসলেই অপ্রয়োজনীয়। নিজের গ্রামীণ কর্মী ও সমর্থকদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, এমনকি বিপদে পাশেও দাঁড়াতে পারেনি।

আর অপরদিকে, বিপক্ষ শক্তি গত কয়েকমাস ধরে সরকারের ব্যর্থতার ব্যাপক ও বহুমুখী প্রচার করেছে, সত্যের সাথে অপপ্রচার যোগ করায় তার মাত্রা হয়েছে আরও ব্যাপক। এছাড়াও ভয়াবহ সন্ত্রাসের মাধ্যমে গ্রাম গঞ্জের মানুষদের তথা ভোটারদের মনোবল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। যদিও কোন মিডিয়েতেই আসেনি, তবে ফোন করে জানলাম, হুমকি ধামকি ছাড়াও গতকাল রাতেও আমাদের এলাকার প্রায় সকল গ্রামে বোমা ফাটানো হয়েছে আতংক তৈরী করার জন্য, যাতে করে কেউ ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সাহসও না করে। তারমানে একইরকম ঘটনা অন্য এলাকাগুলোতেও হয়েছে- এটা ধরে নেওয়াই যায়। এছাড়াও স্কুল পুড়ানো তো আছেই।

আর সবকিছুর মিলিত ফলাফল হল- দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ভয়াবহ রকমের কম হার। যা সকাল থেকেই দেখছি টিভির পর্দায়।

সত্যি বলতে কি, এতটা খারাপ আমি আশা করিনি!

আমি হতাশ !!!   


০৫/০১/২০১৩, রাতঃ ৮.১৫      

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৪

ঘরোয়া কথা-১

বন্ধু বলল, বল তো দেখি একজন গৃহী পুরুষের মেজাজ কিসের উপর নির্ভর করে?
আমি বললাম, কেন, বউ আর মেয়ের উপরে!
-   বুঝলাম না?
বললাম, শোন! তোর কোনদিন ভাল্লুক্যা জ্বর হয়েছিল?
-   হয়েছিল।
তাইলে বুঝবি! ধর, আমি অফিসে ব্যস্ত, হটাৎ বাসা থেকে ফোন এলো, রিসিভ করেই বউয়ের স্বর শুনলাম, সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা ৯৬ ডিগ্রী থেকে ১০৪ এ লাফিয়ে উঠে গেল। আবার পরক্ষনেই সেই ফোনে যদি মেয়ের স্বর শুনি, সাথে সাথে সেই উঠন্ত তাপমাত্রা নেমে আবার ৯৬।
-   এটা দিয়ে তুই কি বুঝাইলি, বিয়ের আগে তো দেখতাম বৌদির সাথে ফোনে মাল্টিঘন্টা কাটাইতি? এখনকার এই অবস্থা ও জানে?
বললাম, জানে না তবে মনে হয় বোঝে!
-   কিভাবে বুঝলি?
বুঝলাম, এখন দেখি- কম গুরুত্বপূর্ণ কথার পর তোর বৌদি ফোনটা মেয়ের হাতে দেয়। আর বেশী গুরুত্বপূর্ণ কথার আগে মেয়েকে দিয়ে কথা বলায়, তারপর সে বলে। যাতে তাপমাত্রাটা মাইনাসে নামে এবং পরে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। আমি যে হাই প্রেশারের রুগী এটা সে সব সময় মনে রাখে। বুঝলি?
-   বুঝলাম !!!

০৩/০১/২০১৪, সকাল ১০.০০