শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩

পাপ বাপ’কেও ছাড়ে নাঃ এটা আবারও প্রমাণিত হবে।

গতকাল অফিসের কাজ সেরে, বাসায় ফিরে টিভি খুলতেই পর্দায় ব্রেকিং নিউজ হয়ে ভেসে উঠলো, শাহবাগে বাসে আগুন ১৯ জন জীবন্ত দগ্ধ। দেখেই বুকটা হাহাকার করে উঠলো। একটু পর যখন আধপোড়া “বিহঙ্গ” বাসটা দেখলাম, তখন নিজেই প্রমাদ গুনলাম। কারণ এইরকম সিটিং গাড়িতে আমি নিজেই প্রতিদিন চলাচল করি।  

ঘটনার কিছুটা আগে পিছে আমিও এই রুটের অন্য কোন বাসে ছিলাম। আমিও হয়ে যেতে পারতাম এই দুর্ভাগা ২০ জনের একজন!

যারা পুড়েছেন বা ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন বা মৃত্যুর মিশিলে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে ধুঁকছেন বা সারাজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করার অপেক্ষায় আছেন, তারা আমাদেরই কারো ভাই, বোন, স্বামী, মা-বাবা।

কর্মজীবী এই মানুষগুলো শুধুমাত্র তার কর্ম পালনের জন্যই এই বিভীষিকাময় সময়ে ঘর থেকে বের হয়েছিল। তারা যখন ঘর ছেড়েছিল, তখন নিশ্চিতভাবেই একটা দীর্ঘশ্বাস চেপে রেখে প্রিয়তমা স্ত্রী, সন্তান বা মা-বাবার শুভকামনা নিয়েছিল আর ভেবেছিল তাদের ভবিষ্যতের কথা।  

কিন্তু খুনির দল আজ তাদের ছাড়েনি। হয়ত আগামীকাল আমি বা আপনাকেও ছাড়বে না। এই করে করে এরা একদিন তাদের প্রতিপালকদেরও পোড়াবে, তারপর নিজেরা পুড়বে।

পুড়বেই!

পাপ বাপ’কেও ছাড়ে না ...

এটা এই বাংলায় অনেকবারই প্রমাণিত হয়েছে...

আবারও হবে ...       


২৯/১১/২০১৩, ৫.১৫ বিকাল। 

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

এরশাদ: বর্তমান বাংলাদেশের সেরা রাজনীতিবিদ

চারদিকে ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে, আমাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসেন মুহাম্মদ এরশাদকে নিয়ে। ওনার বিরুদ্ধে কোথাও হচ্ছে ঝাড়ু মিশিল, আবার কোথাও হচ্ছে জুতা মিশিল, কেউবা আবার থুতুর উৎসবেও মেতে উঠেছেন।

আবার কেউ কেউ তাকে বঙ্গভবনে দেখে খুশিতে আটখানা। ঠোঁটের কোনে ঝুলানো হাসি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, হাসির নহর বইছে তাদের মনে। কেউ কেউ পারলে তো  ওনার পায়ের ধূলিই নেন। আর পত্রিকার প্রিন্টিং আর অনলাইন ভার্সনগুলো তাকে নিয়ে খবরে ছয়লাব। হরতাল অবরোধ ছাপিয়ে বর্তমান বাংলাদেশে এককথায় হটকেক “এরশাদ”।

কিন্তু কেন?

কারণ একটাই, বর্তমান বাংলাদেশে ওনার মত রাজনীতিবিদ আর একজনও নেই!

-বলবেন, ফালতু কথা কেন বলছেন?

আচ্ছা বলুনতো, এই বাংলায় ১৬ কোটি মানুষকে শিশুদের মত দোলনায় চড়িয়ে দোল খাওয়াতে আর কয়জন পারে? একি সাথে দেশের সব মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান নিতে আর মুখে থুতু আনতে বাধ্য করতে আর কে পারেন, উনি ছাড়া?  

আর কেউ পারে না। আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ও নয়। তারা ভাগাভাগি করে বড় জোড় দেশের ৪০% তথা ৬ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মনের চিরস্থায়ী বন্দবস্ত নিতে পেরেছেন যা আসলে তাদের ভোট ব্যাংক। অপরদিকে বাকি ৬০% তথা ৯ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মনে চিরস্থায়ী ক্ষত করেছেন। আর কেউ কারো বিপক্ষ সমর্থকদের মনে বিন্দুমাত্র স্থান পায়নি কখনো।

একমাত্র আমাদের এরশাদ সাহেব এর ব্যতিক্রম। তিনি তার ৫% ভোট ব্যাংকের অর্থাৎ ৮০ লাখ মানুষের বাইরেও আমাদের বড় দুই দলের সমর্থকদের মনেও পালা করে একি সাথে জায়গা করে নিয়েছেন আবার সময় মত কিকও খেয়েছেন। যার নমুনা উপরে বর্ণিত ঝাড়ু আর জুতা মিশিল।   

এটা তিনি কিভাবে পারলেন?

আগেই তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থক গোষ্ঠীর মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে তিনি একটু একটু করে বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠীরও মনে জায়গা করে নিচ্ছিলেন। কয়েকদিন আগে উনি যখন গ্যারান্টি সহকারে বললেন, “আমি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না কিছুতেই”- ওমনি বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠী লাফ দিয়ে উঠলো। তারা যেন হাতে আকাশের চাঁদ পেল। তারা ভাবলো, এবার বাগে পেয়েছি আওয়ামীলীগকে। একদিকে আওয়ামীলীগের ক্ষতি আর অপরদিকে নিজেদের লাভ গুনে গুনে ওনারা এরশাদ সাহেবকে বেশি বেশি করে ভালবাসতে শুরু করলেন। 

এটা গেল মুদ্রার একদিক। মুদ্রার অপরদিকে আওয়ামীলীগের সমর্থক গোষ্ঠী তাকে প্রকাশ্যে ঘৃণা করতে শুরু করলো।

আবার যেই এরশাদ সাহেব পল্টি মেরে গণভবনে হাজির হলেন, অমনি ভালবাসা আর ঘৃণারও পক্ষ বদল হল।

তাই বলছি- এরশাদ সাহেবই বর্তমান বাংলাদেশের সেরা রাজনীতিবিদ, তিনি পালা করে ১৬ কোটি মানুষেরই ভালবাসা পেয়েছেন, যদিও তা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে কিন্তু তাতে কি?

পেয়েছেন তো?

১৯/১১/২০১৩, রাত ১১.৪০
    
         
  


শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৩

বাড়ি ভাড়াঃ এর একটা বিহিত হওয়া দরকার

বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটা বিহিত হওয়া দরকার। ভাড়াটিয়াদের উপর বাড়ি মালিকদের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে এই সম্পর্কিত যথেষ্ট পরিমাণে আইন–কানুন থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত এর কোন প্রয়োগ আমার দৃষ্টি গোচর হয়নি। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যাদের এই আইন প্রয়োগ করার কথা, তারাও এই বিষয়ে কোন নজর দিচ্ছে না।

আমি যতদূর জানি আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিবর্গও এর ভুক্তভোগী কিন্তু তারপরেও এর কোন প্রতিকার হচ্ছে না, কারণটা কি?

আর আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো- যাদের কেউ কেউ বর্তমানে ক্ষমতায়, আবার কেউ কেউ অতীতে ক্ষমতায় ছিল, তারা নাকি সবাই মানুষের জন্য কাজ করেন! কিন্তু তাদেরও তো এই বিষয়ে একটাও কথা বলতে শুনি না কখনো? যদি তারা সত্যিই ভোটের রাজনীতি করত, তাহলে তো এই বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার তো কোন লক্ষণ দেখছিনা?

আমার মতে- যেকোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি এটা নিয়ে খুব অল্পতেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারত কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, তারা সেটা না করে এই সূবর্ণ সুযোগটা হাতছাড়া করছে কেন?

এটা তো সত্যি! ঢাকা শহরে ভোটের সংখ্যায় ভাড়াটিয়ারা, বাড়িমালিকদের চেয়ে অনেক গুন বেশীতারপরেও বাড়ি মালিকদের ভাড়া বৃদ্ধির এই অপ্রতিরোধ্য মনোবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না কেন?

আমি সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি আচিরেই এর একটা বিহিত করুন এবং যারা কর্মসূত্রে ও অপারগ হয়ে ঢাকায় অবস্থান করে ভাড়া বাসায় বসবাস করছে, তাদের বাড়িমালিকদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করুন!

আপডেটঃ ৮/১১/২০১৩, বিকালঃ ৫.১০ 

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৩

একটি গ্রাম্য প্রবাদ ও আমাদের নো-বেল স্যার


গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে-

গরু তুঁই কোদোস কার জোড়ে? 
- কেন খুঁটির জোড়ে! 
তাহলে আমাদের নোবিল স্যার কোদে কার জোরে? 
- কেন? আম্রিকার জোড়ে!

ভূমিকা শেষ- এবার আসি মূল প্রসঙ্গেঃ 

স্যার! মুক্তিযুদ্ধে আপনার কোন ভূমিকা ছিল না, যদিও তখন আপনি ছিলেন তরতাজা নওজোয়ান?

বঙ্গবন্ধু মৃত্যু পরবর্তী সময়ে যখন দেশে সবকিছু এলোমেলো হতে থাকলো তখনো আপনার কোন ভূমিকা চোখে পড়েনি কারো।

ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্যোগের সময় আপনাকে সঠিক স্থানে দেখা যায়নি কখনো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বিদেশ ভুঁইয়ে!

দেখা যায়নি কোন জাতীয় দিবসে কোন বেদীতে ফুল দিচ্ছেন বা পার্বণে মানুষের সাথে মিশছেন? এই সময়গুলোতে আপনি সবসময় থেকেছেন আড়ালে আবডালে!

এমনকি, আপনাকে দেখা যায়নি হালের “রানা প্লাজা দুর্যোগেও”! অনলাইনে অফলাইনে অনেক ডাকাডাকির পরেও!

আজ নিজস্বার্থে, হটাৎ করে আপনি ক্ষেপে গিয়ে একবারে আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক নেতাদের মতই হুমকি দিলেন? হাত ভেঙ্গে দিতে চাইলেন? এটা আপনার কাছে থেকে আমরা আশা করিনি আমরা আপনাকে অনেক সম্মান করি, স্যার।   

হ্যাঁ! ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বর্তমান সরকার “গ্রামীণ ব্যাংক” নিয়ে যা করছে তা “উদ্দেশ্যমূলক” এবং “অন্যায় কাজ” এবং এই কাজ থেকে সরকারের এখনই “দুঃখিত” বলে সরে আসা উচিত! সমাধান করার মত আরও অনেক অনেক সমস্যা দেশে বিদ্যমান!   

স্যার, আর একটা কথা- যেহেতু আপনি পুরোপুরি রাজনৈতিক নেতা বনে গেছেন এবং একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তাই এখন থেকে আপনার পেয়ারা আম্রিকার মত আপনারও ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। আশাকরি আম্রিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মত আপনিও সবকিছু হাসিমুখে মেনে নিবেন! মনে কিছু রাখবেন না!
বাই দ্যা ওয়ে ...
এই কথাটা বলে, মনে করছি- আমি ব্যক্তিগত নীতিবিরোধী একটা কথা বলে ফেললাম। কিন্তু আবার এও মনে করি, আপনার ব্যক্তিগত এই তথ্যটাও সবার জানা উচিত! আফটার অল, কয়দিন পরেই আপনি আমাদের “জাতীয় কাণ্ডারি” হতে যাচ্ছেন!
আমার কথায় দুঃখ পেলে- আমি লগে লগে ক্ষমা চাচ্ছি, স্যার!

অফটপিকঃ আম্রিকার মত তারও সবকিছুই প্রচারের আলোয় আসা উচিত; আম্রিকার মত করেই। এই নীতি শুধুমাত্র যারা রাজনীতি করবেন, তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে এবং সেটাও আম্রিকার মত করেই! 

১৮/১০/২০১৩, ১১.৪১  

রেডি হনঃ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির মৌসুম চলে এসেছে।

আবার বাড়িভাড়া বৃদ্ধির মৌসুম চলে এসেছে। গত কিছুদিন ধরেই বাড়ীওয়ালার আচার, আচরণ, ব্যবহারে আমরা বুঝতে পাড়ছিলাম বাসা ভাড়া বাড়বে। কিন্তু বাড়ী মালিক মুখ ফুটে কিছু বলছিলেন না; কিন্তু আমরা বুঝতে পারছিলাম বাড়িভাড়া বৃদ্ধির নোটিশ ইজ কামিং। অবশেষে নভেম্বর মাসের ৪ তারিখের সকালে ভাড়া রসিদের সাথে সেটা এলো।

না! খুব বেশী ভাড়া এবার বাড়েনি, মাত্র ১৭% এবং সেটা ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে কার্যকরী। গত বছরও একই সময় বেড়েছিল মাত্র ২১%! এই ‘মাত্র’ কথাটা কিন্তু আমার না? এটা বাড়ি মালিকের বক্তব্য। এই শব্দটা যখন আমাদের সামনে পেশ করা হবে; তখন আমাদের তা হাসিমুখে স্বীকার করতে হবে, “হ্যাঁ ভাই, আপনার কথাই ঠিক- জিনিষপত্রের দাম যা বেড়েছে”! কথার ফাঁকে ভাড়াটিয়াদের মধ্যে বেয়ারা কোন ভাড়াটিয়া যদি মুখ ফসকে বলে ফেলেন, ভাই এটা খুব বেশী হয়ে গেল না? তাহলে সাথে সাথে বেয়াদবের জন্য ফরমান জারি হবে, না পোষালে অন্য বাসা দেখেন! আমি টু-লেট টাঙ্গাইলাম। এটা শুনে আর কি বলা যায়? কোনমতে ‘কোঁত হাঁসি’ মুখে ফুটিয়ে তুলে মাথা নিচু করে দরবার থেকে চলে এসে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে নিষ্ফল ফালাফালি ছাড়া!

তাই বলছি- ভাই তাড়াতাড়ি রেডি হন বাড়িভাড়া বৃদ্ধির মৌসুম চলে এসেছে।

৭/১১/২০১৩, রাতঃ ১০.৩০ 

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৩

বাড়ি ভাড়াঃ কথা বলাই পাপ

বাড়ির মালিকরা আজকাল কোন কিছুর ধার ধারছে না, মানছে না কোন নিয়ম নীতি, হারিয়ে ফেলছে সব ধরণের বিবেচনা বোধ, মানবিকতা! কিছু বলতে গেলেই ক্ষেপে যাচ্ছেন! ভাড়াটিয়াদের সুখ-দুঃখ, ভাল-মন্দ দেখার কোন ইচ্ছাই আর তাদের নেই!

আমরা যারা কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকি, যাদের বসবাসের জন্য নিজস্ব কোন বাসস্থান নেই, তারা আছি মহাবিপদে! একদিকে আমাদের বেতনের সাথে যে হিসেবে “হাউস রেন্ট” দেওয়া হয় বাস্তবে সেই হিসেবের মধ্যে বাসা ভাড়া পাওয়া একটা অলীক স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে! ফলে বেসিক বেতনের একটা অংশ বাড়িভাড়া খাতে ব্যয় হচ্ছে। আবার সেটা করতে যেয়ে খরচের অন্যখাতে টান পড়ছে। এই কথাটা আবার কর্মক্ষেত্রে বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠান একটু ভাল হলে বড়জোর একটা সান্ত্বনা বানী শোনা যায় “নতুন পে-স্কেলে” এটা বিবেচনা করা হবে! আর যদি প্রতিষ্ঠানটি একটু ঠোঁটকাটা টাইপের হয়, তাহলে তো কথায় নেই, উত্তর আসে, “পোষালে থাকেন, না পোষালে চলে যান!”

আমি যাদের সাথে মিশি তাদের প্রায় সবাই ভাড়া বাসায় থাকেন। যখন কোন আড্ডা বা অবসর সময়ে এই বিষয়ে কথা ওঠে, তখন বোঝা যায় বাড়ী মালিকদের চরিত্র কত কিসিমের!

কোন বাড়ির মালিক হয়ত বাড়িভাড়া দেওয়ার সময় আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, “আগামী এক বছরের মধ্যে ভাড়া বাড়ানো হবে না” কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তিন-চার মাস পরেরই আপনার কাছে ভাড়া বৃদ্ধির নোটিশ আসছে, “সামনের মাস থেকে ভাড়া বাড়বে ২,০০০/- টাকা”। আপনি যদি বাড়ির মালিককে তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণ জিজ্ঞাসা করেন, ধরে রাখুন উত্তর আসবে, “পোষালে থাকেন, না পোষালে চলে যান!”

আবার কোন বাড়ীওয়ালা হয়ত বাড়ী ভাড়া নেওয়ার সময় আপনার কাছে ১,০০,০০০/- টাকা অগ্রিম নিলেন এবং কথা দিলেন আগামী দুইবছর বাড়ী ভাড়া বাড়াবেন না! আপনি লিখিত চুক্তি করতে চাইলেন কিন্তু উনি এড়িয়ে যেয়ে আপনাকে তার মানে মুরুব্বীর কথায় বিশ্বাস রাখতে বললেন। বছর না ঘুরতেই আপনার কাছে যথারীতি নোটিশ আসলো, “ভাড়া আগামী মাস থেকে ৩,০০০/- টাকা বাড়বে!” আপনি ক্ষেপে যেয়ে প্রতিবাদ করলেন এবং এর প্রতিকার চাইলেন, নিশ্চিত থাকুন, সামনের মাসে উচ্ছেদের নোটিশ পাবেন!

নোটিশ পেয়েছেন? এবার আপনার ক্ষমা চাওয়ার পালা। কারণ ইতিমধ্যে আপনি আপনার ছেলে-মেয়েকে পাশের স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন এবং অফিসে বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়ে রাতবিরেতে বাসায় ফিরছেন! আর এগুলোই আপনার জন্য “কাল” হয়েছে! কারণ বাড়ি মালিকটি এটা খেয়াল করেছেন এবং আপনাকে মুরগী বানিয়েছে! আপনি উচ্ছেদ ঠেকানোর জন্য নাকে খত দিয়ে হলেও, বেশী ভাড়া দিতে রাজী তো হবেনই উপরন্তু ফাও হিসেবে মাপও চাইবেন!

কোন কোন বাড়ি মালিকের আছে ব্যাংক লোনের কিস্তি “প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতাকে” ভাড়াটিয়াদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার এক অদ্ভুত মানসিকতাআমি এমন এক বাড়ি মালিককে জানি, যিনি উপরে বর্ণিত অজুহাতটিকে কাজে লাগিয়ে ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে কোনরূপ পূর্বচুক্তি বা নোটিশ ব্যতিরেকেই একমাসের ভাড়ার টাকা অগ্রিম নিয়েছেন। পরবর্তীতে সেটা তিনি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন এবং কিছুদিন পর বাড়ির সব ভাড়াটিয়ার কাছে লিখিত নোটিশ পাঠিয়েছেন, “প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বাসা ভাড়া পরিশোধ করা না হলে বাসায় “অটো টু-লেট” টাঙ্গানো হবে”!   

তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, “প্রতিমাসে আপনারা ভাড়া দিতে দেরী করেন, এক একজন একেক সময় ভাড়া দেন। এতে করে আমার কিস্তি পরিশোধে সমস্যা হয়। প্রতিমাসে টাকা ধার করতে হয়। যা আমার জন্য লজ্জাজনক!” এই কথা শুনে ভাড়াটিয়ারা একযোগে মিন মিন করে বলার চেষ্টা করেছিল, “এটা কিভাবে সম্ভব, আমাদের বেতন তো হয় মাসের ৮-১০ তারিখে, কারো কারো আরও পরে, আর এর জন্যই তো কিছুদিন আগে একমাসের ভাড়া অগ্রিম দিলাম! ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না আঙ্কেল?” আর আঙ্কেলের ঠোঁটের আগায় আটকিয়ে থাকা উত্তরটা ঝট করে বের হয়ে গেল, “তাহলে অন্য বাসা দেখেন!”

এবার আমার সাক্ষাত অভিজ্ঞতার কথা বলি, সেই ব্যাচেলর লাইফ থেকে একই এলাকায় অনেকদিন থাকার কারণে বর্তমান বাড়ীর মালিক আমার পূর্ব পরিচিতপ্রায় সমবয়সী বাড়ী মালিকটির ব্যবহারও চমৎকার, সেইসূত্রে বর্তমান ভাড়া বাসায় আমার ওঠা! প্রথম প্রথম সে ভালই ছিল, প্রতিবছর ভাড়া বাড়াত, তবে সেটা সে আমাদের সাথে অলোচনা করেই করত। আমরাও মানে ভাড়াটিয়ারা কখনো তাতে বাঁধা দিতাম না এবং স্ব স্ব অবস্থান থেকে তা মেনে নিতাম। কিন্তু গত দুই-তিন বছর থেকে তার মধ্যে পরিবর্তন দেখছি, গায়ে আশপাশের ঝুনা-বাঁশ রুপী প্রবীণ বাড়ী মালিকদের বাতাস লাগতে শুরু করেছে, ওনার ব্যবহার পাল্টাচ্ছে এবং চক্ষুলজ্জা কমে যাচ্ছে! শুনতে পাই, প্রতি সপ্তাহের কোন একদিন এলাকার বাড়ী মালিকরা একজোট হয়ে গলাকাটা রেটে ভাড়া বাড়ানোর ফন্দী আঁটে এবং সব বাড়ি মালিকদের সেটা বাধ্যতামূলক ভাবে পালন করতে বলা হয়। অলরেডি ভাড়া বৃদ্ধির সেই গরম বাতাস আমাদের এলাকায় বইতে শুরু করেছে এবং তা আমাদের গায়েও সেই আঁচ লাগছে।

আমার দেখা, এই ঢাকা শহরে ব্যাচেলরদের জন্য একটা ভাল বাসা ভাড়া পাওয়া সবচেয়ে চেয়ে কঠিন কাজ। যদিও সব বাড়ীর মালিকই “মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাচেলর ছেলে খোঁজেন” কিন্তু বাসা ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে “ব্যাচেলর নট এলাউড!” কোন কোন বাড়ীর মালিক যদিওবা দয়া পরবশতঃ ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দিতে রাজী হয় কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেটা হয় অন্ধকার-দুর্গন্ধময় গ্রাউন্ড ফ্লোর আর না হয় টিন-শেড টপ ফ্লোর! যা কিনা সচরাচর ফ্যামিলি ভাড়াটিয়ারা নিতে চায় না আর নিলেও তা থেকে ভাড়া কম পাওয়া যায়। অপরদিকে সেই বাসাগুলোকেই ডবল টাকায় ভাড়া দিয়ে বাড়ির মালিক ব্যাচেলরদের প্রতি “দয়া” দেখানোর পাশাপাশি আগাম সতর্কতা হিসেবে হুমকি দিয়ে রাখেন, “একটু এদিক-ওদিক করলেই কিন্তু উচ্ছেদের নোটিশ পাবে বাবা’রা।

অনেকদিন ধরে ঢাকায় ব্যাচেলর/বিবাহিত দুভাবেই বাসা খুঁজে এবং ভাড়া বাসায় থেকে বুঝেছি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ বাড়ি মালিকরা ভাড়াটিয়াদের উপর জুলুম করার উৎসাহটা পায় তাদের সুযোগ্যা গৃহিণীদের কাছ থেকে। এই গৃহিণীরাই হল যত নাটের গুরুমা। আর এদের অত্যাচারটা শুরু হয় “জল” ছাড়া নিয়ে। সময়মত জলের মেশিন তো এরা চালু করবেনই না, উল্টো জল ছাড়ার কথা বললেই ওনাদের মনকষ্ট শুরু হয়। যদিও এর বিলটা ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়ে থাকে প্রতিমাসে। আবার কোন কোন বাড়ীর ছাদে দুটো জলের ট্যাঙ্ক থাকে যারা থাকে পেটের মাঝ বরাবর পাইপ দিয়ে সংযুক্ত করা। ভাড়াটিয়াদের বাসায় যে ট্যাঙ্ক থেকে জল আসে সেটা উপরে আর ওনাদের বাসায় যেটা থেকে জল যায় সেটা থাকে একটু নীচে বসানো। আর কে না জানে- জল সবসময় তার টার্গেট মতই চলে, মানে নীচের দিকে গড়ায়। ফলে মালিকের বাসায় জলের অভাব কখনোই হয় না। তাই ওনারা বোঝেন না বা বুঝতেও চেষ্টা করেন না যে, একটা ফ্যামিলি বাসায় সঠিক সময়ে বা অনিশ্চিত সময়ের জন্য জল না থাকলে কি ঘটে? আমি এমনও দেখেছি, “এলাকায় জলের সংকট দেখা দেওয়ায়, মালিকের বাসার কাজের মেয়ে খুব ভোর ছাদে উঠে ভাড়াটিয়াদের জলের লাইনের মেইন “কি” বন্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র নিজেদের লাইনে জলের প্রবাহটা ঠিক রাখছে!”

আর একটা কমন সমস্যা হলো বিদ্যুৎবিল। যদিও ভাড়া মিটানোর সময় অধিকাংশ বাড়ির মালিকই তেলের মত স্বীকার করে - প্রতি মাসে “বিদ্যুৎ বিলের অরিজিনাল কাগজ” দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা প্রায় ঘটেই না! আর কেউ যদি উপযাজক হয়ে চেয়েই ফেলে, তাহলেই উত্তর আসে, আমাদের মিটার একটাই তাই ওটা দেওয়া সম্ভব না। আর এসব নিয়ে তাদের ভাষায় বেশী কথা বলতে গেলেই উত্তর আসে, ‘বাসা ছাড়ুন’!

এসব দেখেশুনে আমার মনে হয়- আমরা যেন মানুষ না! গরু-ছাগল! কথায় কথায় বাসা ছাড়ার হুমকি ধামকি দেওয়াটা আজকাল ঢাকার বাড়ি মালিকদের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, তবে কি আমরা আজ নিজদেশেই উদ্বাস্তু? যেসব রোহিঙ্গা ‘উদ্বাস্তু’ হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদেরও তো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরাতে গেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিবাদ আসে এমনকি বিশ্বের মোড়লরা এসে হাজির হয় কিন্তু আমরা যারা এদেশের বৈধ নাগরিক, সৎকর্মে নিয়োজিত থেকে প্রতিবছর সরকারকে ইনকাম ট্যাক্স দিচ্ছি তাদের এই সমস্যাটা দেখার কেউই নেই! সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান এইসব দেখার কথা, তারা যেন সব নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে! আর তারা ঘুমাবেই না কেন? ওদের মধ্যে তো প্রায় সবাই আজ ঢাকায় বাড়ির মালিক হয়ে গেছে, আর সেটা না পারলেও মালিক হওয়ার ধান্ধায় আছে! তাই ওদের ভাবখানা এমন, “শুধু শুধু স্ব-গোত্রীয়দের হয়রানি করবো কেন”?  

কিন্তু এমন হওয়ার কথা ছিল না? এই বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর আইন কানুন আছে কিন্তু সরকার ইচ্ছা করেই সেটার বাস্তবায়ন করছে না বা পারছে না। আর সরকারের এই আইন প্রয়োগের অক্ষমতাই বাড়ি মালিকদের সাহস ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলছে, যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাব হবে ব্যাপক ও ভয়াবহ। ইতিমধ্যেই তা দেখা যাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বল্প বেতনভুক্ত কর্মীরা ছাড়াও নিম্ন ও মধ্য আয়ের পরিবারগুলো আছে সবচেয়ে বিপদে! একদিকে যেমন তারা তাদের ইনকাম বাড়াতে পারছে না, অপরদিকে পারছে না অতিরিক্ত বাড়িভাড়া দেওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যয়ের সাথে তাল মিলাতে। যা তাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনি কাজ করার পাশাপাশি দুর্নীতি করতে প্রলুব্ধ করছে।      

অপরদিকে, আমার মতে- গার্মেন্টস শ্রমিকদের অসন্তোষের মূল কারণই হলো প্রতিদিনের খরচের জন্য কিছু নগদ টাকা হাতে না থাকা আর বাড়ি মালিকদের ক্রমাগত উচ্ছেদের হুমকি। এর সাথে যোগ হয়েছে তাদের “বাড়ি ভাড়া” ক্রমাগত ও অযৌক্তিক হারে বৃদ্ধি পাওয়া। যার কারণে তারা আয়ের সাথে ব্যয় মিলাতে পারছে না। একজন গার্মেন্টস শ্রমিক তার বাসস্থানের জন্য যে ভাড়া দেয়, তা যদি পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতি স্কয়ার ফিট হিসেবে তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে তা গুলশান–বনানী এলাকার বাসা ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশী!

আমরা যারা এই অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তারা জানি- চাকুরী বা কর্ম ঠিক রেখে বাসা পাল্টানো এবং তার খরচ বহন করা, অল্প সময়ে নতুন বাসা খুঁজে বের করা, ছেলেমেয়েকে সুবিধাজনক স্কুলে ভর্তি করা, অফিসে/কাজে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা সহ- যে সকল ঝক্কি ঝামেলা একজন কর্মজীবী মানুষকে পোহাতে হয়, তা এককথায় স্বল্প নোটিশে করা অসম্ভব! আর আমাদের এই অসুবিধাটাকেই বাড়ি মালিকরা নিয়েছেন তাদের সুবিধা হিসেবে। আর এটা ব্যবহার করেই তারা ভাড়াটিয়াদের ব্ল্যাক মেইল করছে এবং ইচ্ছামত ভাড়া বাড়াচ্ছে! ফলে তাদের এইসব যুক্তিহীন ও অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করতে গেলেই, যখন তখন তারা ভাড়াটিয়াদের বাসা থেকে নেমে যেতে বলছেন- যা আসলে “ঘাড় ধরা”রই নামান্তর!

তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এবিষয়ে একটা কথাই বলা যায়, আর তা হলো- আজকাল বাড়িভাড়া নিয়ে বাড়ি মালিকদের সাথে কথা বলাই পাপ! তাদের যা ইচ্ছা তাই করবে কিন্তু কিছুই বলা যাবে না, সবকিছুই মেনে নিতে হবে?

আপডেটঃ ০৬/১১/২০১৩, রাতঃ ১০.১০

সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৩

শেয়ার বাজারের সফলতা প্রচার করা আর খাল কেটে কুমির আনা –একই কথা


এটা আমি কি শুনলাম? কি পড়লাম? বর্তমান সরকার নাকি শেয়ার বাজার নিয়ে তাদের সাফল্য তুলে ধরবে? আমার কিন্তু বিশ্বাস হচ্ছে না! আমি পুড়া টাকসিত!

এই সর্বনেশে বুদ্ধি সরকারকে কে দিলো? যে দিয়েছে, তাকে এই মুহূর্তেই বরখাস্ত করা উচিত অথবা ব্লক মারা উচিত। কারণ সে বন্ধুবেশী বিভীষণ ছাড়া আর কিছুই নয়! 

আমার মতে, বর্তমান সরকারের সাফল্য অনেক। যা আগের বাংলাদেশের কোন সরকারই এত অল্প সময়ে এত সফলতা অর্জন করতে পারেনি। কৃষি, শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে। এছাড়াও খাদ্য, যোগাযোগ, শ্রম, প্রাণী ও মৎস্য প্রভৃতি মন্ত্রণালয় মোটামুটি সফলতা দেখিয়েছে। এছাড়া অন্য আর সকল মন্ত্রণালয় খুব একটা সফল হতে না পারলেও একেবারে ব্যর্থ হয়নি।

ব্যতিক্রম একমাত্র অর্থমন্ত্রণালয়এই সরকারের সব সফলতা একাই ব্যর্থ করে দিয়েছে এই মন্ত্রণালয়শেয়ার বাজার, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, বেসিক ব্যাংক সহ বড় বড় আর্থিক দুর্নীতিগুলো ঘটেছে যা আসলে এই মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের এখতিয়ারভুক্তএই দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদ্বয় কিছুতেই তাদের এই মহাব্যর্থতা ঢাকতে পারবে না কোন কিছু দিয়েই। যতই তারা জ্ঞানীগুণী আর সম্মানিত ব্যক্তি হোন না কেন।

সরকার যদি এই শেয়ার বাজারের মধ্যেও তার সফলতা খুঁজে বের করতে চাই বা ছোটখাটো বিষয়গুলিকে তূলে ধরে বড় বিষয়টাকে লুকাতে চায়-তাহলে সরকার ভুল করবে। মানুষের মনের ক্ষতটাকে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করবে। কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিবে।      

আর অপরদিকে, এটা করা হলে সরকারের সত্যিকারের সাফল্যগুলো সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণা হবে। মানুষ মনে করবে শেয়ার বাজারের সফলতার মত এগুলোও ভাঁওতাতাই আমি সবিনয় অনুরোধ করছি- প্লিজ এটা করবেন না।

এটা করা হলে, খাল কেটে কুমির আনবেন কিন্তু!

বলে রাখলাম >>>>


৩০/১০/২০১৩, রাতঃ ১০.৩০ 

আসুন রাজনীতিতে নতুন ও উচ্চ শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের স্বাগত জানাই

সব কথার শেষকথা হলো – সজীব ওয়াজেদ জয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট। সেখানে সে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছেন।

আরে ভাই, শিক্ষার একটা দাম আছে? না নাই? পৃথিবীর এক নম্বর- এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতাই বা আমরা কয়জন রাখি? বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ’রা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝরে পড়া ছাত্রবৃন্দের নাম। রতন টাটা’রা এর কোর্স কমপ্লিট করা হাজার হাজার সফল মানুষদের একজন। আমাদের বর্তমান রাজনীতিতে আর কয়জন আছে এইরকম শিক্ষার অধিকারী?

রাজনীতিতে শিক্ষিতদের আসতে দেন। অযথা বিতর্ক না করে, পাড়লে নিজেদের দলে এইরকম শিক্ষিত নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের নিয়ে আসুন। তাতে করে দলের লাভের সাথে সাথে দেশের লাভ হবে শতগুণ। আর যদি তারা কিছুই করতে নাও পারে; তাতেও কোন ভয় নেই, কারণ আমাদের বর্তমান অবস্থার চেয়ে আর কতটুকু খারাপ করবে তারা?  

তারচেয়ে, আসুন আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এবং সবগুলো দলে নতুন ও উচ্চ শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের স্বাগত জানাই, উৎসাহ প্রদান করি। তাতে আখেরে আমাদের লাভ হলেও হতে পারে!

ধন্যবাদ!

০৪/১১/২০১৩, রাত ১০.০০ টা