চারদিকে হিংসার আগুন। পুড়ে ছারখার সবকিছু,
মনে হচ্ছে আমাদের পূর্ব পুরুষ বর্ণীত সেই ১৯৭১ সাল আবার ফিরে এসেছে এই বাংলায়। পুড়ে যাচ্ছে সবকিছু-
শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ, সব ধরনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট- রিক্সা, ভ্যান, অটো, এম্বুলেন্স,
বাস, ট্রাক, ট্রেন। রেহাই পাচ্ছে না মানুষের বসত বাড়ি ঘর, ব্যবসা, ফ্যাক্টরি। এমনকি উপাসনালয়,
পবিত্র ধর্মগ্রন্থও রেহায় পাচ্ছে না ১৮ দলীয় জোটের রোষের আগুন থেকে। মানুষ বোঝাই চলন্ত
বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হচ্ছে। গোপনে ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে যাতে করে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ
মারা যায়, পুড়ে যাচ্ছে,
চাল বোঝাই ট্রাক, ঔষধের গাড়ী। সেই সবের ড্রাইভারগন যারা তা চালাচ্ছিল, তারা আদৌ ১৮ দলীয় ডাকা
অবরোধ ভঙ্গ করেনি। কারণ তারা ছিল দুই কর্মসূচীর মধ্যবর্তী সময়ে। ,
মানুষকে কর্মসূচী নামের ভয়তালের ফাঁদে ফেলে নির্মম
ভাবে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। যা এই বাংলায় আগে দেখা অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মসূচীর সম্পূর্ণ বিপরীত। দেশের মানুষ এর সাথে
নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারছে না। আগের দেখা ও শোনা কোন
অভিজ্ঞতার সাথে মিলছে না এগুলো।
শুক্রবার সকালে শেষ হওয়া কর্মসূচী; কেন সেইদিনই মধ্যরাতে নতুন করে ঘোষণা দিতে হবে? কেন সেটা দিনের বেলায়
দেওয়া হল না? তাতে করে দেশের আপামর জনগণ নিজেদের মত করে প্রস্তুতি নিতে পারত। তাই আমি বলতে বাধ্য
হচ্ছি, এর মাধ্যমে ১৮ দলীয় জোট দেশের মানুষকে ফাঁদে ফেলেছে যাতে তাদের সর্বচ্চো ক্ষতি নিশ্চিত করা যায়? হত্যাকাণ্ড ঘটানো যায়,
পোড়ানো যায়।
এইসব অপরাধ সাইকো অপরাধীরা করে। কোন সুস্থ স্বাভাবিক
মানুষ এই রকম করতে পারে না।
আমি, ১৮ দলীয় জোটে এখনো যারা ভাল মানুষ আছেন, আছেন ভাল রাজনৈতিক
নেতা-কর্মী, তাদের কাছে করজোড়ে নিবেদন করছি, প্লিজ রেইজ ইউর ভয়েস
আপ এন্ড সে নো টু দ্যা মাস কিলিং এন্ড ডেস্ট্রাকশন।
প্লিজ ডু সামথিং ফর আস !!!
01/12/2013, 1.15 PM
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন