বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৩

একটি গ্রাম্য প্রবাদ ও আমাদের নো-বেল স্যার


গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে-

গরু তুঁই কোদোস কার জোড়ে? 
- কেন খুঁটির জোড়ে! 
তাহলে আমাদের নোবিল স্যার কোদে কার জোরে? 
- কেন? আম্রিকার জোড়ে!

ভূমিকা শেষ- এবার আসি মূল প্রসঙ্গেঃ 

স্যার! মুক্তিযুদ্ধে আপনার কোন ভূমিকা ছিল না, যদিও তখন আপনি ছিলেন তরতাজা নওজোয়ান?

বঙ্গবন্ধু মৃত্যু পরবর্তী সময়ে যখন দেশে সবকিছু এলোমেলো হতে থাকলো তখনো আপনার কোন ভূমিকা চোখে পড়েনি কারো।

ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্যোগের সময় আপনাকে সঠিক স্থানে দেখা যায়নি কখনো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বিদেশ ভুঁইয়ে!

দেখা যায়নি কোন জাতীয় দিবসে কোন বেদীতে ফুল দিচ্ছেন বা পার্বণে মানুষের সাথে মিশছেন? এই সময়গুলোতে আপনি সবসময় থেকেছেন আড়ালে আবডালে!

এমনকি, আপনাকে দেখা যায়নি হালের “রানা প্লাজা দুর্যোগেও”! অনলাইনে অফলাইনে অনেক ডাকাডাকির পরেও!

আজ নিজস্বার্থে, হটাৎ করে আপনি ক্ষেপে গিয়ে একবারে আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক নেতাদের মতই হুমকি দিলেন? হাত ভেঙ্গে দিতে চাইলেন? এটা আপনার কাছে থেকে আমরা আশা করিনি আমরা আপনাকে অনেক সম্মান করি, স্যার।   

হ্যাঁ! ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বর্তমান সরকার “গ্রামীণ ব্যাংক” নিয়ে যা করছে তা “উদ্দেশ্যমূলক” এবং “অন্যায় কাজ” এবং এই কাজ থেকে সরকারের এখনই “দুঃখিত” বলে সরে আসা উচিত! সমাধান করার মত আরও অনেক অনেক সমস্যা দেশে বিদ্যমান!   

স্যার, আর একটা কথা- যেহেতু আপনি পুরোপুরি রাজনৈতিক নেতা বনে গেছেন এবং একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তাই এখন থেকে আপনার পেয়ারা আম্রিকার মত আপনারও ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। আশাকরি আম্রিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মত আপনিও সবকিছু হাসিমুখে মেনে নিবেন! মনে কিছু রাখবেন না!
বাই দ্যা ওয়ে ...
এই কথাটা বলে, মনে করছি- আমি ব্যক্তিগত নীতিবিরোধী একটা কথা বলে ফেললাম। কিন্তু আবার এও মনে করি, আপনার ব্যক্তিগত এই তথ্যটাও সবার জানা উচিত! আফটার অল, কয়দিন পরেই আপনি আমাদের “জাতীয় কাণ্ডারি” হতে যাচ্ছেন!
আমার কথায় দুঃখ পেলে- আমি লগে লগে ক্ষমা চাচ্ছি, স্যার!

অফটপিকঃ আম্রিকার মত তারও সবকিছুই প্রচারের আলোয় আসা উচিত; আম্রিকার মত করেই। এই নীতি শুধুমাত্র যারা রাজনীতি করবেন, তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে এবং সেটাও আম্রিকার মত করেই! 

১৮/১০/২০১৩, ১১.৪১  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন